সদ্য চেলসিতে যোগ দেওয়া পেদ্রো ঝলকেই ফ্লুমিনেন্সকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ইংলিশ ক্লাবটি। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাতে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে জয়ের নায়ক হয়েও নিজের সাবেক ক্লাবের প্রতি সম্মান জানিয়ে একটিও গোল উদযাপন করেননি পেদ্রো। এখন ফাইনালে চেলসির প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ অথবা পিএসজি।
লন্ডন জায়ান্টদের হয়ে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েই ২৩ বছর বয়সী পেদ্রো প্রমাণ করেছেন নিজের দক্ষতা। ম্যাচের ১৮তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের বাঁকানো শটে চেলসিকে এগিয়ে দেন তিনি। এরপর ৫৬তম মিনিটে প্রায় ১৫ গজ দূর থেকে আরও একটি গোল করেন। দুই গোলের পরই উদযাপন না করে দুই হাত তুলে শ্রদ্ধা জানান এবং হাতজোড় করে দাঁড়ান।
ম্যাচ শেষে পেদ্রো বলেন, ‘যখন আমি ছোট ছিলাম, আমার কিছুই ছিল না। ফ্লুমিনেন্স আমাকে সবকিছু দিয়েছে।’ এই ক্লাবের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা থেকেই গোল উদযাপন না করার সিদ্ধান্ত তার।
মাত্র ১০–১১ বছর বয়সে ফ্লুমিনেন্স একাডেমিতে যোগ দিয়েছিলেন পেদ্রো। এরপর ১৮ বছর বয়সে যান ওয়াটফোর্ডে, তারপর ব্রাইটনে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়েও অভিষেক হয় তার।
ফ্লুমিনেন্সের কোচ রেনাতো গাউচো এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলো আর্থিকভাবে ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে না। খেলোয়াড় বিক্রিই তাদের টিকে থাকার প্রধান পথ।’
জুলাইয়ের ২ তারিখে ব্রাইটন থেকে চেলসিতে আসেন পেদ্রো। ব্রাইটনের হয়ে ৫৮টি প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে ১৯টি গোল করেছিলেন তিনি। চেলসির হয়ে অভিষেক ঘটে কোয়ার্টার ফাইনালে পালমেইরাসের বিপক্ষে ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে নেমে। ফাইনালের এক ধাপ দূরে থাকা ক্লাবকে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জেতালেও শেকড় ভুলে যাননি পেদ্রো। তার কথায়, ‘তারা (ফ্লুমিনেন্স) আমাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। আমি আজ এখানে কারণ তারা আমাকে বিশ্বাস করেছিল।’