এই ম্যাচেও একক আধিপত্য দেখিয়েছেন কিউই পেসার বেন সিয়ার্স। দ্বিতীয় ম্যাচে ৫৯ রানে ৫ উইকেট নেওয়ার পর এবার মাত্র ৩৬ রান খরচায় নিয়েছেন আরেকটি পাঁচ উইকেট। তার তোপে পড়ে ছিন্নভিন্ন হয়েছে পাকিস্তানের মিডল ও লোয়ার অর্ডার। বল হাতে ম্যাচ ঘোরানো এই পারফরম্যান্সে সিয়ার্স নিশ্চিত করেন পাকিস্তানের হোয়াইটওয়াশ।
পাকিস্তান ইনিংসের শুরুটা ছিল ভালোই। ইমাম উল হক মাথায় বল লেগে মাঠ ছাড়লে বাবর আজম ও আবদুল্লাহ শফিক গড়েন ৭৩ রানের জুটি। তবে শফিক ছিলেন ধীর গতির, ৫৬ বলে করেন মাত্র ৩৩ রান। এরপর বাবর আজম খেলেন ৫৮ বলে ৫০ রানের ইনিংস, কিন্তু ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব শেষ করতে পারেননি তিনিও। মোহাম্মদ রিজওয়ান, সালমান, তাহির—কেউই ইনিংস টেনে নিতে পারেননি। সিয়ার্সের বোলিং তাণ্ডবের সামনে একে একে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় পাকিস্তান।
এই সিরিজে একাধিক ব্যতিক্রমী ঘটনারও জন্ম দিয়েছে সফরকারী দলটি। দ্বিতীয় ম্যাচে হারিস রউফের কনকাশন বদলি হিসেবে নেমে রান করেছিলেন নাসিম শাহ। এবার তৃতীয় ম্যাচে মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন ইমাম, যার বদলি হিসেবে নামেন উসমান খান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো দলের টানা দুই ম্যাচে কনকাশন বদলি নেওয়ার এমন নজির এর আগে দেখা যায়নি।
অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ড খেলেছে তাদের বেশিরভাগ মূল তারকাকে ছাড়াই। স্যান্টনার, কনওয়ে, ফিলিপস, রবীন্দ্র, উইলিয়ামসন, ফার্গুসনদের অনুপস্থিতিতেও দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে কিউইরা। মারিউ, নিকোলস, মিচেল ব্রেসওয়েলরা ব্যাট হাতে দায়িত্ব পালন করেছেন দুর্দান্তভাবে। শেষ দিকে অধিনায়ক ব্রেসওয়েল ৪০ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের মতো স্কোর উপহার দেন।
এই হোয়াইটওয়াশ শুধু পাকিস্তানের জন্য নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের জন্যও এক সতর্ক সংকেত। একঝাঁক নতুন মুখের কাঁধে ভর করে শক্তিশালী পাকিস্তান দলকে যেভাবে উড়িয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড, তাতে স্পষ্ট—তাদের ক্রিকেটে গভীরতা এবং বিকল্প খেলোয়াড়দের সামর্থ্য এখন অনেক বেশি বিস্তৃত ও কার্যকর।