বালক এককে থাইল্যান্ডের আরিয়াফল লিকুল চ্যাম্পিয়ন হন চীনের চুয়ান ডিং–কে ৬–৪, ৬–৩ গেমে হারিয়ে। ফাইনালে ওঠার পথে তিনি বাংলাদেশের উদীয়মান খেলোয়াড় জারিফ আবরার–কে পরাজিত করেন, যা দেশীয় সমর্থকদের মাঝে গর্বের মুহূর্ত এনে দেয়।
অন্যদিকে, বালিকা এককে ভারতের সানমিথা হারিনি দারুণ দক্ষতায় শিরোপা জিতেছেন। ফাইনালে তিনি থাইল্যান্ডের তারিতা হংসইয়ক–কে ৬–৪, ৬–২ গেমে হারিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেন। সেমিফাইনালে মালদ্বীপের আসাল আজিম–কে হারিয়ে তিনি ফাইনালে উঠেছিলেন।
এর আগেই দ্বৈত বিভাগে ভারত ও মালদ্বীপের খেলোয়াড়দের জয় ছিল চোখে পড়ার মতো—বালক দ্বৈতে শৌনক চ্যাটার্জি ও অমৃত ধনকর (ভারত) জুটি, আর বালিকা দ্বৈতে আরা আসাল আজিম (মালদ্বীপ) ও সানমিথা হারিনি (ভারত) জুটি শিরোপা জিতে নেয়।
টুর্নামেন্টের ফাইনাল শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল হাই সরকার। আতশবাজি ও উদযাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এবারের আয়োজন, যা তরুণ টেনিস তারকাদের প্রতিভা বিকাশের এক অনন্য মঞ্চ হয়ে উঠেছে।
ইউএস ওপেনের ফাইনালে আবারও কার্লোস আলকারাজের কাছে হার মানলেন ইয়ানিক সিনার। রোববার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত লড়াইয়ে স্প্যানিশ তারকার কাছে ৬-২, ৩-৬, ৬-১, ৬-৪ গেমে পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে হারালেন বিশ্ব এক নম্বরের আসনও।
নিউ ইয়র্কের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে রেকর্ড ছুঁয়ে নতুন ইতিহাস লিখলেন ইয়ানিক সিনার। সেমিফাইনালে কানাডার ২৫ নম্বর বাছাই ফেলিক্স অগার আলিয়াসিমকে ৬-১, ৩-৬, ৬-৩, ৬-৪ গেমে হারিয়ে টানা পঞ্চম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে পৌঁছে গেলেন এই ইতালিয়ান তারকা। চলতি মৌসুমে এটি তার চতুর্থ ফাইনালও।
ইউএস ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে দুর্দান্ত টেনিস উপহার দিলেন ইয়ানিক সিনার। নিউ ইয়র্কের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে আলেকজান্ডার বুবলিককে একেবারে উড়িয়ে দিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিলেন বিশ্ব এক নম্বর। সরাসরি সেটে ৬-১, ৬-১, ৬-১ গেমে জিতে মাত্র ১ ঘণ্টা ২১ মিনিটে নিজের দ্রুততম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয় নিশ্চিত করেন সিনার।
ইউএস ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রথম সেট হারিয়েও ঘুরে দাঁড়ালেন নোভাক জোকোভিচ। আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে আমেরিকান প্রতিপক্ষ জ্যাকারি সভাজদাকে ৬-৭ (৫-৭), ৬-৩, ৬-৩, ৬-১ গেমে হারিয়ে টুর্নামেন্টের তৃতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নেন ২৪ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী এই সার্বিয়ান তারকা।
ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ডে দুর্দান্ত শুরু করেছেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা ইয়ানিক সিনার। নিউইয়র্কের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে চেক প্রজাতন্ত্রের ভিত কপ্রিভাকে সরাসরি সেটে ৬-১, ৬-১, ৬-২ গেমে উড়িয়ে দেন তিনি।
৩৮ বছর বয়সেও নতুন ইতিহাস গড়ার দৌড়ে আছেন নোভাক জকোভিচ। ইউএস ওপেনে লড়ছেন নিজের ২৫তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপার খোঁজে। রোববার নিউইয়র্কে প্রথম রাউন্ডে জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন সার্বিয়ান এই কিংবদন্তি, তবে ম্যাচ শেষে শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে প্রকাশ করেছেন শঙ্কা।
উইম্বলডনের ঘাসে ফাইনালের হারটা কার্লোস আলকারাজের হৃদয়ে লাগলেও, সেটা তাকে ভেঙে ফেলতে পারেনি। বরং নতুন করে গুছিয়ে নিচ্ছেন নিজেকে, চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি হচ্ছেন সিনসিনাটি মাস্টার্সে—নতুন লক্ষ্য, নতুন প্রেরণায়।