রিশাদের ৬ উইকেটে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

৯ ওভারে মাত্র ৩৫ রান খরচায় রিশাদ তুলে নেন ৬ উইকেট, যা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এক অনন্য রেকর্ড।
🔹 তিনি বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথম ডানহাতি স্পিনার, যিনি ৫ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন।
🔹 একইসঙ্গে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের স্পিনারদের মধ্যে সেরা বোলিং ফিগারও এখন রিশাদের দখলে।
এর আগে রাজিন সালেহের ছিল সেরা স্পিন রেকর্ড (৪/১৬, জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে, ২০০৬)।

এই ম্যাচে রিশাদের ৬ উইকেটের বোলিং পারফরম্যান্স মাশরাফি বিন মর্তুজা, রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানের রেকর্ডের সমকক্ষ। তারা তিনজনই ওয়ানডেতে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন, তবে স্পিনার হিসেবে এই মাইলফলকে পৌঁছানো প্রথম বাংলাদেশি রিশাদ।

⚡ মিরপুরের রহস্যময় উইকেট, ‘মিরাজ ফর্মুলায়’ জয়

মিরপুরের কালো, ধীর, অসমান বাউন্সযুক্ত উইকেটে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ২০৭ রানে গুটিয়ে গেলেও বোলাররা সেটিকে ‘জয়ের পুঁজি’তে রূপ দিতে সময় নেয়নি।
তাওহিদ হৃদয় (৫১), অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৪৬) ও শান্ত (৩২) দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে দলকে লড়াইয়ে রাখেন। তবে শেষদিকে রিশাদের দ্রুত ২৬ রানই পার্থক্য গড়ে দেয়।

রান তাড়ায় ৫১ রানের জুটি গড়লেও এরপর থেকে শুরু হয় রিশাদ ঝড়। ১২তম ওভারে এলবিডব্লিউ করেন আলিক আথানেজকে। এরপর একে একে ফিরিয়ে দেন ব্র্যান্ডন কিং, কেসি কার্টি, রাদারফোর্ড, চেইস ও সিলসকে। তার স্পিনে একেবারে গলে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপ।

🧤 সহযোদ্ধাদের সহায়তা ও নিখুঁত পরিকল্পনা

মিরাজের নেতৃত্বে বোলাররা পুরো সময় জুড়ে নিখুঁত লাইন ও লেন্থে ছিলেন।
🔸 মোস্তাফিজ নিয়েছেন ২ উইকেট মাত্র ১৬ রানে।
🔸 মিরাজের ১০ ওভারে ১ উইকেট ও ৩ মেডেন।
🔸 তানভির ইসলামের নিয়ন্ত্রিত স্পেলে উইকেট হারিয়েছেন অধিনায়ক শেই হোপ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে একমাত্র প্রতিরোধের নাম ছিল ব্র্যান্ডন কিং (৪৪), বাকিরা রিশাদের স্পিন জাদুর সামনে অসহায়।

🏆 ম্যাচসেরা ও ভবিষ্যতের আশা

দলকে ব্যাটে-বলে জয়ের নায়ক বানিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরা হয়েছেন রিশাদ হোসেন। এই পারফরম্যান্সে যেন নতুন করে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেল বাংলাদেশ দল। মিরপুরের ‘স্পিন-বান্ধব ফর্মুলা’ আবারও সফল প্রমাণিত হলো, আর তাতে সবচেয়ে বড় নায়ক এক তরুণ লেগ স্পিনার—রিশাদ হোসেন।