সোমবার ঐতিহাসিক লর্ডসে পাঁচ ম্যাচের সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ২২ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এখন তারা এগিয়ে গেছে ২-১ ব্যবধানে। তবে এই জয়ের গল্পটা শুরু হয়েছিল যখন ভারত ১৯৩ রানের লক্ষ্যে নেমে মাত্র ১১২ রানেই হারিয়ে ফেলে ৮ উইকেট।
সেই মুহূর্তে অনেকেই ভাবছিলেন, হয়তো লাঞ্চের আগেই শেষ হয়ে যাবে ম্যাচ। কিন্তু তখনই দৃশ্যপটে এলেন রবীন্দ্র জাদেজা। বুমরাহ আর পরে সিরাজকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তুললেন অসম্ভবকে সম্ভব করার মতো এক লড়াই। নবম উইকেটে বুমরাহর সঙ্গে যোগ করেন ৩৫ রান, খেলেন ২২ ওভারের বেশি।
শেষ উইকেটে সিরাজকে নিয়ে লড়াইটা আরও দীর্ঘ করেন জাদেজা। ১৩ ওভারে তাদের জুটিতে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় ইংলিশরা। স্ট্রাইক প্রোটেকশন, সিঙ্গেল নেওয়ার বুদ্ধিমত্তা আর বল বুঝে খেলার দৃষ্টান্ত গড়েন জাদেজা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুর্ভাগ্য! সিরাজ স্টাম্পে বল লাগিয়ে ফিরে যান আর সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে যায় ভারতের সব আশা।
জাদেজা অপরাজিত থাকেন ৬১ রানে, কিন্তু তার এই ইনিংস ভারতকে বাঁচাতে পারেনি। ম্যাচ শেষে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা জাদেজা, হাঁটু গেড়ে বসে যাওয়া সিরাজ—সবই যেন হার না মানা লড়াইয়ের প্রতিচ্ছবি।
প্রথম ইনিংসে দুদলের রান সমান ছিল ৩৮৭। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয় ১৯২ রানে। কিন্তু লক্ষ্য ছোট হলেও, আর্চার-স্টোকসদের আক্রমণে ধসে পড়ে ভারতের টপ অর্ডার। রাহুল, পান্ত, সুন্দররা কিছুই করতে পারেননি। রিভার্স সুইং, বাউন্স, দুর্দান্ত লাইন-লেন্থে বল করে ইংল্যান্ড বারবার ভেঙে দেয় ভারতের প্রতিরোধ।
জাদেজা আর বুমরাহ যেভাবে লড়াই চালিয়ে গেছেন, তা অনেকদিন মনে রাখবে ক্রিকেট ভক্তরা। তবে শেষমেশ সিরাজের সেই ‘অপ্রত্যাশিত’ উইকেট—জয় এনে দিল ইংল্যান্ডকে।