পাল্লেকেলেতে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে ২৮৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নামা বাংলাদেশ কখনোই ম্যাচে ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৯৯ রানের বড় ব্যবধানে হারে টাইগাররা। তবে ফলাফল নয়, ম্যাচ দেখে বোঝা যায় আরও বড় সমস্যা লুকিয়ে আছে—দলের চেয়ে ব্যক্তি বড় হয়ে উঠছে।
২০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর চারে নামেন তাওহিদ হৃদয়। আউট হন ৩৩তম ওভারে। এই দীর্ঘ সময় ব্যাট করে ৭৮ বলে ৫১ রান করেন তিনি, যার স্ট্রাইকরেট মাত্র ৬৫.৩৮। বাংলাদেশ তখন রানের চাপে থাকলেও, হৃদয়ের ব্যাটে ছিল না প্রয়োজনীয় আগ্রাসন।
মাঝে কিছু জুটিও গড়েছেন হৃদয়—তৃতীয় উইকেটে ৫৮ বলে ৪২ রান, চতুর্থ উইকেটে ৪৩ রান এবং পঞ্চম উইকেটে ১৯ রান। কিন্তু এসব জুটিতে তার নিজস্ব অবদান খুবই কম ছিল। ওভারপ্রতি রান চাহিদা যখন ৮-এর কাছাকাছি, তখনও তিনি ফিফটির জন্য নিরাপদ খেলা চালিয়ে যান। তার এই ইনিংস দলের প্রয়োজনে কোনো কাজে আসেনি বললেই চলে।
শুধু হৃদয় নন, পারভেজ ইমন (৪৪ বলে ২৮) ও জাকের আলী (৩৫ বলে ২৭)– তাদের ইনিংসেও লক্ষ্য ছিল না, ছিল না সময় ও পরিস্থিতির বিবেচনা। ব্যাটাররা যেন খেলছেন নিজেদের নামের পাশে রান বাড়াতে।
এমন ‘আমিত্বে’র প্রবণতা নতুন নয়। আগেও দেখা গেছে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম কিংবা মাহমুদউল্লাহদের ইনিংসে ব্যক্তিগত লক্ষ্যের প্রাধান্য। বিশেষ করে তামিমের ৭৮টি টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ১১৬ স্ট্রাইকরেট দলের থেকে নিজের সুরক্ষাকেই বড় করে তুলে।
এই সিরিজেই গলে শান্ত ডাবল সেঞ্চুরির জন্য ১১ ওভার বাড়তি ব্যাটিং করেন। ড্র নিশ্চিত হলেও জয় আসে না। সেঞ্চুরি উদযাপন করেন এমনভাবে, যেন দল জিতেছে—অথচ জয় নয়, লড়ে ড্র করেছে দল।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই সংস্কৃতি এখন বড় প্রশ্নের মুখে। দল নয়, ব্যক্তি বড় হয়ে উঠছে বারবার। নতুন প্রজন্ম হয়তো শিখছে, দলকে জিতিয়ে না হোক, নিজের নামটা বড় করে রাখাই সাফল্য।
এশিয়া কাপে টিকে থাকার সমীকরণটা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের জন্য। হংকংকে হারিয়ে দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে চারিথ আসালাঙ্কার শ্রীলঙ্কা, যার ফলে গ্রুপ–এ তে লঙ্কানরা পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেছে।
দুবাইয়ে এশিয়া কাপের বহুল প্রতীক্ষিত ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলো পাকিস্তান। কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল ও জসপ্রিত বুমরাহর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভার খেলেও তারা থেমে যায় ৯ উইকেটে ১২৭ রানে।
এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ লড়াইকে ঘিরে সবসময়ই থাকে আলাদা উত্তেজনা। তবে এবারের ম্যাচকে ঘিরে সেই উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে না টিকিট বিক্রিতে। ম্যাচ শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে পর্যন্তও দুবাইয়ের ভেন্যুতে শত শত আসন খালি রয়ে গেছে। এমনকি প্রিমিয়াম, প্যাভিলিয়ন ও হসপিটালিটি বক্সের টিকিটও বিক্রি হয়নি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসী দর্শকরা স্বপ্ন দেখছিলেন বড় কিছু। আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে লাল–সবুজে রঙিন সমর্থকদের আশা কিন্তু ভেঙে চুরমার হলো খুব দ্রুতই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়াইয়ের বদলে লিটন দাসের দল যেন মাঠে নামল আত্মসমর্পণের জন্যই।
এশিয়া কাপে আজ বি গ্রুপে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। আবুধাবিতে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই হাইভোল্টেজ ম্যাচ। লিটন দাসের নেতৃত্বে মাঠে নামবে টাইগাররা, আর লঙ্কানদের নেতৃত্ব দেবেন চারিথ আসালাঙ্কা।
এশিয়া কাপে শুভ সূচনা করল পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে মোহাম্মদ হারিসের ঝড়ো ফিফটির পর বোলারদের দাপটে একপেশে লড়াই জিতে নিল সালমান আগার দল। নবাগত ওমানকে ৯৩ রানে হারিয়ে সহজ জয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করল তারা।
এশিয়া কাপের এবারের আসরটা বাংলাদেশ শুরু করল দারুণ জয় দিয়ে। আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়ে লিটন দাসের নেতৃত্বে যাত্রা শুভ করল টাইগাররা।
এশিয়া কাপে শিরোপাধারী ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত শুরুর আভাস দিয়েও শেষ পর্যন্ত ইতিহাসের সবচেয়ে লজ্জাজনক অবস্থায় পড়ল সংযুক্ত আরব আমিরাত। মাত্র ১৩.১ ওভার টিকেই ৫৭ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস, যা টি-২০ ক্রিকেটে আমিরাতের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড।