ইসরায়েল ম্যাচের আগে উদিনে প্রো–ফিলিস্তিনি উত্তেজনা

সম্প্রতি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তি হলেও, ইতালির ফিলিস্তিনপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মতে, সেটি কেবল "অস্থায়ী সমাধান"। তাদের দাবি—ফিলিস্তিনের পূর্ণ স্বাধীনতা না আসা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে।

‘ফিলিস্তিন–উদিনে’ নামের সংগঠনটি বার্তাসংস্থা রয়টার্স-কে জানায়,

“আমরা এখনই থামছি না। ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার, প্রত্যাবর্তনের অধিকার ও দখলমুক্ত জীবনের অধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”

সংগঠনটির অনুমান, ম্যাচের দিন অন্তত ১০ হাজার মানুষ অংশ নেবে এই মিছিলে। তারা ম্যাচটিকে বলছে “লজ্জার খেলা” — তবে ম্যাচ বন্ধের কোনো দাবি জানায়নি। বরং শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের অবস্থান প্রকাশ করতে চায় তারা।

এদিকে, একই দিনে ফুটবল ম্যাচ ও রাজনৈতিক বিক্ষোভ হওয়ায় প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। শুক্রবার থেকেই শহরে জারি হয়েছে নানা নিষেধাজ্ঞা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।

শনিবার থেকে কিছু এলাকায় যান চলাচল ও পার্কিং সীমিত, স্টেডিয়াম ঘিরে বসানো হয়েছে কংক্রিটের ব্যারিয়ার। ম্যাচের দিন গ্লাস, সিরামিক বা টিনের পাত্রে খাবার ও পানীয় বিক্রি নিষিদ্ধ থাকবে। এমনকি রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফেগুলোর বাইরে থাকা চেয়ার-টেবিলও সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

ইতালির জাতীয় ক্রীড়া পর্যবেক্ষণ সংস্থা এই ম্যাচটিকে “সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ইভেন্ট” হিসেবে চিহ্নিত করেছে। প্রশাসনের আশঙ্কা—বিক্ষোভে কোনো সহিংস গোষ্ঠী অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে।

অন্যদিকে, মাঠের প্রতিযোগিতার দিক থেকে ম্যাচটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ‘আই’ গ্রুপে নরওয়ে ৫ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। ইতালি ও ইসরায়েল সমান ৯ পয়েন্টে পরের দুই স্থানে। তাই এই ম্যাচে জয় মানে টেবিলের ভারসাম্য বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা।

ইসরায়েল ম্যাচের আগে শনিবার এস্তোনিয়ার বিপক্ষে খেলবে ইতালি। তবে তার আগেই উদিনের রাস্তায় ফুটবল আর রাজনীতি মিলেমিশে তৈরি করেছে এক অস্বস্তিকর উত্তেজনার আবহ।