গোলবন্যায় লেভারকুসেনকে উড়িয়ে দিল পিএসজি

ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখাতে থাকে পিএসজি। মাত্র সপ্তম মিনিটেই উইলিয়ান পাচোর হেডে এগিয়ে যায় তারা। এরপর লেভারকুসেন পায় সমতায় ফেরার সুযোগ—কিন্তু আলেহান্দ্রো গ্রিমালদোর পেনাল্টি শট পোস্টে লেগে ফিরে আসায় মিস হয়ে যায় সেই সম্ভাবনা।

পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন স্বাগতিকদের অধিনায়ক রবার্ট আন্ডরিচ কনুই মারায় সরাসরি লাল কার্ড দেখেন। তবে পিএসজির সংখ্যাগত সুবিধা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে পিএসজির ডিফেন্ডার ইলিয়া জাবারনি-ও লাল কার্ড দেখেন।

এরপরও মাঠে দাপট ছিল কেবল এক দলের—লুইস এনরিকের পিএসজি। প্রথমার্ধের শেষ ১০ মিনিটে পরপর তিন গোল করে ম্যাচ একেবারে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় তারা। দিজিরে দুয়ের জোড়া গোলের পাশাপাশি গোল করেন খাভিচা কাভারাতস্খেলিয়া। বিরতির আগেই ৪-১ গোলে এগিয়ে যায় সফরকারীরা।

দ্বিতীয়ার্ধেও থেমে থাকেনি প্যারিসিয়ানরা। ৫০তম মিনিটে নুনো মেন্দেস নিখুঁত শটে গোল করে ব্যবধান বাড়ান। কিছুক্ষণ পর আলেইক্স গার্সিয়ার গোল লেভারকুসেনকে কিছুটা স্বস্তি দিলেও সেটি টেকেনি বেশি সময়। বদলি হিসেবে নামার তিন মিনিটের মধ্যেই গোল করেন উসমান দেম্বেলে—যিনি ইনজুরি থেকে ফিরেই জানিয়ে দিলেন, তিনি ফিরে এসেছেন আগের মতোই ভয়ঙ্কর রূপে।

শেষ মুহূর্তে ভিতিনিয়ার গোল লেভারকুসেনের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেয়।
পুরো ম্যাচে পিএসজির ফুটবল ছিল গতিময়, নিখুঁত এবং ভয়ঙ্কর ধারালো। প্রতিটি আক্রমণেই ছিল পরিকল্পনা ও নিখুঁত সমন্বয়।

এই জয়ে তিন ম্যাচে তিন জয় নিয়ে পূর্ণ ৯ পয়েন্টে শীর্ষে পিএসজি। ইউরোপের মঞ্চে এখনো অপরাজিত, এখনো ভয়ঙ্কর, এখনো সেরা।
লিগ ওয়ানে সাম্প্রতিক সময় কিছুটা ব্যর্থতা থাকলেও, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজির ছন্দে কোনো ভাটা নেই—বরং প্রতিটি ম্যাচেই তারা যেন নতুনভাবে নিজেদের প্রমাণ করছে।