শুরুটা করেন জনসন চার্লস ও এভিন লুইস। যদিও লুইস মাত্র ৫ রানে বিদায় নেন খালেদের বলে সাইফ হাসানের দুর্দান্ত এক ক্যাচে। তবে এরপর শুরু হয় চার্লস ও রহমানুল্লাহ গুরবাজের বিধ্বংসী জুটি। ৭০ বলে ১২১ রানের এই পার্টনারশিপ এবারের আসরে সর্বোচ্চ। গুরবাজ করেন ৬৬ রান মাত্র ৩৮ বলে। অন্যদিকে চার্লস ৪৮ বলে ৬৭ করে রিটায়ার্ড হন।
শেষদিকে রাদারফোর্ড ও রোমারিও শেফার্ডের ঝড়ো ইনিংসে ১৯৬ রানে থামে গায়ানার ইনিংস। এটি জিএসএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। রংপুরের হয়ে খালেদ, ইফতিখার ও শামসি নেন একটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে রংপুর। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই জাদরানের বিরুদ্ধে জোরালো আবেদন হয়, যদিও তিনি বেঁচে যান। এরপর চাপেই ভেঙে পড়ে রংপুরের টপ অর্ডার। ইব্রাহিম জাদরান, সৌম্য সরকার ও কাইল মায়ার্স ফিরে যান ৩০ রান হওয়ার আগেই।
মিডল অর্ডারে সাইফ হাসান ও ইফতিখার আহমেদ গড়ে তোলেন কিছুটা প্রতিরোধ। সাইফের ব্যাটে আসে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় দারুণ ৩৮ রান। ইফতিখারও যোগ দেন রান তুলতে। কিন্তু ১৩তম ওভারে নাটকীয় মুহূর্ত আসে। বাউন্ডারিতে ইফতিখারের ক্যাচ নিয়ে বিতর্ক ওঠে, তবে রিপ্লেতে তিনি নট আউট ঘোষিত হন। কিন্তু পরের বলেই রানআউট হন দুর্দান্ত খেলতে থাকা সাইফ, শেষ হয় ৭৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি।
শেষদিকে মাহিদুল অঙ্কনের ৩০ রানের ইনিংস শুধু হারের ব্যবধান কমায়। ৩২ রানে জয় পেয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। দুইবারের চ্যাম্পিয়ন হওয়া হলো না রংপুর রাইডার্সের; দুর্দান্ত মৌসুম শেষে তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হলো রানার্সআপ হয়েই।