রোববার শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের দারুণ বোলিংয়ে ১৯.৩ ওভারে মাত্র ১১০ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। জবাবে মাত্র ২৭ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা।
এই জয়ের মাধ্যমে দীর্ঘ ৯ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। এটি লিটন দাসের অধিনায়কত্বে দেশের মাটিতে বড় একটি সাফল্য।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে গড়েন নতুন রেকর্ড—টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের কোনো বোলারের সবচেয়ে কম রান দিয়ে পূর্ণ ৪ ওভারের স্পেল। তাসকিন ২২ রানে তুলে নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।
একটি করে উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান ও তানজিম হাসান সাকিব। পাকিস্তানের ইনিংসে বাকি ৩টি উইকেট এসেছে রানআউট থেকে। পাওয়ার প্লেতেই ৪১ রানে ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
ফখর জামান পেয়েছিলেন দুবার জীবন। এরপরও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে রানআউট হন। খুশদিল ১৭ ও আব্বাস ২২ রান করেন। অন্য কেউ পৌঁছাতেই পারেননি দুই অঙ্কে।
পাকিস্তানের ইনিংসে একদিকে ছিলেন মোস্তাফিজের নিখুঁত কাটার-ইয়র্কার, অন্যদিকে তাসকিনের গতির তাণ্ডব। পাওয়ার প্লেতেই সাইম আইয়ুব, হারিস ও সালমান আলি ফিরে যান। রানআউটে কাটা পড়েন মোহাম্মদ নাওয়াজ ও পরে ফখর জামান। শেষ দিকে তাসকিনের তিন বলে তিন উইকেট—ফাহিম (ক্যাচ), সালমান (রানআউট) ও আব্বাস (ক্যাচ)—তাদের ইনিংস শেষ করে দেয়।
১১০ রানের সহজ লক্ষ্যে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। পরের ওভারে লিটনও ফিরলে ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দল।
এমন পরিস্থিতিতে ইনিংস গুছিয়ে নেন পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহিদ হৃদয়। দুজন মিলে গড়েন ৭৩ রানের জুটি। তাওহিদ ৩৬ রান করে বোল্ড হলেও ইমন নিজের ইনিংস এগিয়ে নেন সাবলীলভাবে। শেষ পর্যন্ত ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন, হাঁকান ৩টি চার ও ৫টি ছক্কা। সঙ্গী জাকের আলিকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন ১৫.৩ ওভারেই।
পাকিস্তান: ১১০/১০ (১৯.৩ ওভার)
বাংলাদেশ: ১১৩/৩ (১৫.৩ ওভার)