সীমান্ত সংঘর্ষে প্রাণ গেল তিন আফগান ক্রিকেটারের, ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্নের পথে আফগানিস্তান-পাকিস্তান

আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক বিবৃতিতে জানায়,

“এই হামলায় প্রাণ হারানো তিন তরুণ ক্রিকেটার পাকতিকা প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। তাদের মৃত্যু আমাদের জন্য অপরিমেয় ক্ষতি। নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা আসন্ন ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে নিজেদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) আয়োজনে আগামী ১৭ থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরে হওয়ার কথা ছিল সিরিজটি। রাউন্ড রবিন ভিত্তিতে তিন দল একে অপরের বিপক্ষে দুবার করে খেলত, তবে এই ঘটনার পর তা আর হচ্ছে না।

আফগানিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক রশিদ খান গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন,

“বেসামরিক স্থানে হামলায় নারী, শিশু ও ক্রিকেটারদের প্রাণহানি অত্যন্ত মর্মান্তিক। এমন নৃশংসতা কোনোভাবেই ন্যায্য নয়। এটি মানবতার বিরুদ্ধে বর্বরতা।”

দেশটির আরেক অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি এক বিবৃতিতে বলেন,

“এই হামলায় আমাদের তরুণ ক্রিকেটাররা শহীদ হয়েছেন—এটা কেবল পাকতিকা নয়, গোটা আফগান ক্রিকেট পরিবারের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন ক্রিকেটার শারানা শহরে একটি প্রীতি ম্যাচ শেষে বাড়ি ফেরার পথে পাকিস্তানি বিমান হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন।

গত দুই সপ্তাহ ধরে সীমান্ত এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন গোলাগুলি ও বিমান হামলা চলছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তানের এসব হামলায় আফগানিস্তানের শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। যদিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এখনো এই ঘটনার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

এই মর্মান্তিক ঘটনার ফলে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান ক্রিকেটীয় সম্পর্কও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। আফগান ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক মহলে এক ধরনের নীরব উদ্বেগ তৈরি হয়েছে—যেখানে রাজনীতি ও যুদ্ধের আগুন ছুঁয়ে ফেলছে খেলাধুলার মঞ্চকেও।