২০১৮ সালের নিদাহাস ট্রফির পর থেকে বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কা লড়াই মানেই বাড়তি উত্তেজনা। ভক্তদের আবেগে আগুন জ্বালানো এই দ্বৈরথকে ক্রিকেটাররা অবশ্য দেখেন সাধারণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসেবেই। আসালাঙ্কা ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আসলে দ্বৈরথটা ভক্তদের মাঝেই আছে। খেলোয়াড় হিসেবে আমরা শুধু একটা চ্যালেঞ্জিং লড়াই করি।”
তবে ম্যাচটির গুরুত্ব কোনো অংশেই কম নয়। সুপার ফোরে জায়গা করে নেওয়ার পথে এই ম্যাচ থেকেই অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে দুই দলের ভাগ্য।
সব মিলিয়ে অতীত রেকর্ডে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও সাম্প্রতিক ফর্মে লিটন দাসদের আত্মবিশ্বাস আরও উঁচুতে। আজকের ম্যাচেই বোঝা যাবে, কারা এগিয়ে যাবে এবারের এশিয়া কাপে।
এশিয়া কাপে টিকে থাকার সমীকরণটা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের জন্য। হংকংকে হারিয়ে দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে চারিথ আসালাঙ্কার শ্রীলঙ্কা, যার ফলে গ্রুপ–এ তে লঙ্কানরা পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেছে।
দুবাইয়ে এশিয়া কাপের বহুল প্রতীক্ষিত ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলো পাকিস্তান। কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল ও জসপ্রিত বুমরাহর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভার খেলেও তারা থেমে যায় ৯ উইকেটে ১২৭ রানে।
এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ লড়াইকে ঘিরে সবসময়ই থাকে আলাদা উত্তেজনা। তবে এবারের ম্যাচকে ঘিরে সেই উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে না টিকিট বিক্রিতে। ম্যাচ শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে পর্যন্তও দুবাইয়ের ভেন্যুতে শত শত আসন খালি রয়ে গেছে। এমনকি প্রিমিয়াম, প্যাভিলিয়ন ও হসপিটালিটি বক্সের টিকিটও বিক্রি হয়নি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসী দর্শকরা স্বপ্ন দেখছিলেন বড় কিছু। আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে লাল–সবুজে রঙিন সমর্থকদের আশা কিন্তু ভেঙে চুরমার হলো খুব দ্রুতই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়াইয়ের বদলে লিটন দাসের দল যেন মাঠে নামল আত্মসমর্পণের জন্যই।
এশিয়া কাপে শুভ সূচনা করল পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে মোহাম্মদ হারিসের ঝড়ো ফিফটির পর বোলারদের দাপটে একপেশে লড়াই জিতে নিল সালমান আগার দল। নবাগত ওমানকে ৯৩ রানে হারিয়ে সহজ জয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করল তারা।
এশিয়া কাপের এবারের আসরটা বাংলাদেশ শুরু করল দারুণ জয় দিয়ে। আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়ে লিটন দাসের নেতৃত্বে যাত্রা শুভ করল টাইগাররা।
এশিয়া কাপে শিরোপাধারী ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত শুরুর আভাস দিয়েও শেষ পর্যন্ত ইতিহাসের সবচেয়ে লজ্জাজনক অবস্থায় পড়ল সংযুক্ত আরব আমিরাত। মাত্র ১৩.১ ওভার টিকেই ৫৭ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস, যা টি-২০ ক্রিকেটে আমিরাতের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড।