শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫-০ গোলের জয়ে নিজেদের টানা পঞ্চম জয় তুলে নিয়েছে পিটার বাটলারের শিষ্যরা। এর ফলে শিরোপা ধরে রাখার একদম কাছাকাছি পৌঁছে গেছে লাল-সবুজের মেয়েরা। কিংস অ্যারেনার পাশের প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন পূজা দাস। বাকি তিনটি গোল করেছেন তৃষ্ণা রানী, কানন রানী ও অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। আগের দেখায় শ্রীলঙ্কাকে ৯-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে পাঁচ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পাওয়া নেপাল রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। ভুটান তিন পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় ও শ্রীলঙ্কা এখনও পয়েন্টশূন্য। ফলে আগামী সোমবার নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি শিরোপা নির্ধারণী হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ যদি ওই ম্যাচে ড্র করে, তাহলে তারা পঞ্চমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হবে। তবে হেরে গেলে পয়েন্ট সমান হবে, এবং তখন গোল ব্যবধান বিবেচনায় শিরোপা নির্ধারিত হবে। এই দিক থেকে বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়ে আছে—নেপালের গোল পার্থক্য +২৬, আর বাংলাদেশের +২০।
এই ম্যাচে ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলার একাদশে আনেন পাঁচটি পরিবর্তন। গোলরক্ষক হিসেবে সুযোগ পান ফেরদৌসী আক্তার, যিনি চলতি আসরে প্রথমবার খেললেন। অধিনায়কত্ব করেন সুরমা জান্নাত। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন আফঈদা, স্বপ্না, উমেহলা ও মুনকি আক্তার। প্রথমার্ধে ২৪ মিনিটে কানন রানীর নিচু শটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। অতিরিক্ত সময়ে পূজার গোল ব্যবধান বাড়ায়। দ্বিতীয়ার্ধে পূজার আরও একটি গোল, তৃষ্ণার নিখুঁত ফিনিশিং ও পেনাল্টি থেকে আফঈদার গোলে বড় জয় নিশ্চিত হয়।
শ্রীলঙ্কা যদিও আগের ম্যাচের তুলনায় ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, তবুও বাংলাদেশের আধিপত্যে তারা কার্যত পাত্তাই পায়নি। আরও কয়েকটি সুযোগ নষ্ট না হলে স্কোরলাইন আরও বড় হতে পারত।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় এর আগে চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৮, ২০২১, ২০২৩ সালে এককভাবে এবং ২০২৪ সালে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে তারা শিরোপা জেতে। কেবল ২০২২ সালে রানার্সআপ হয় তারা। এবার পঞ্চম শিরোপা জয়ের হাতছানি।