এই টুর্নামেন্টে শুধুমাত্র দলগত ইভেন্ট থাকবে, যা ৩০ ও ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ। এই প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দলই ২০২৬ সালের এপ্রিলে লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার সুযোগ পাবে।
গত মে মাসে ১৬ জন পুরুষ ও ১৬ জন নারী খেলোয়াড় নিয়ে ক্যাম্প শুরু হলেও বাছাই পদ্ধতি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। খেলোয়াড়রা র্যাঙ্কিংভিত্তিক নির্বাচনের পক্ষে ছিলেন, কিন্তু বিটিটিএফ বর্তমান ফর্ম যাচাইয়ের জন্য ট্রায়াল বাধ্যতামূলক করে।
বিটিটিএফের সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন মাকসুদ আহমেদ সনেট বলেন, "প্রথমে আমরা শৃঙ্খলাজনিত কারণে দল না পাঠানোর কথাও ভেবেছিলাম। কিন্তু এখন খেলোয়াড়রা ট্রায়ালের গুরুত্ব বুঝেছেন। ক্যাম্পে তাদের উন্নতি দেখে আমরা আশাবাদী।"
পুরুষ দলের কোচ সৈয়দ মাহমুদুজ্জামান শাহেদ স্বীকার করেন, "ভারত আমাদের চেয়ে শক্তিশালী, তবে নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের বিপক্ষে আমাদের জয়ের সম্ভাবনা ৫০-৫০।"
নারী দলের সদস্য সোনম সুলতানা সোমা বলেন, "শুরুতে মনোযোগ দিতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল, কিন্তু এখন পুরো দল একজোট। আমরা আমাদের সেরাটা দেব।"
মহিউদ্দিন আহমেদ হৃদয় ও রামহিম লিয়ান বমের মতো খেলোয়াড়রা একাধারে পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণের চাপ সামলাচ্ছেন। হৃদয় বলেন, "আমরা ভারত ছাড়া বাকি দলগুলোর বিরুদ্ধে জিততে পারব।"