বাংলাদেশ সময় রবিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ৮২ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে ৩-০ ব্যবধানে ফাইনাল জিতে নেয় চেলসি। সবগুলো গোলই আসে প্রথমার্ধে। ইংলিশ তরুণ তারকা কোল পালমার জোড়া গোল করার পাশাপাশি একটি অ্যাসিস্ট দিয়ে ম্যাচের সেরা হন। তৃতীয় গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জোয়াও পেদ্রো।
নতুন ফরম্যাটে এবারই প্রথম ৩২ দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ক্লাব বিশ্বকাপ। যেখানে চেলসি শুরু থেকেই ছিল পিছনের সারিতে, কিন্তু মাঠে তারা দেখিয়েছে এক অন্য রূপ। এটি তাদের দ্বিতীয় শিরোপা—এর আগে ২০২১ সালে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা।
ফাইনালে ওঠার পথে পিএসজি দেখিয়েছিল ভয়ংকর দাপট—বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদের মতো দলকে হারিয়ে এসেছিল তারা। কিন্তু চূড়ান্ত লড়াইয়ে তাদের কোনো অস্ত্রই কাজ করেনি। মাত্র ৩৪ শতাংশ বল দখলে রেখেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ছিল চেলসি।
রবার্ট সানচেজ হয়ে ওঠেন ব্লুজদের প্রাচীর। স্প্যানিশ গোলরক্ষক দুর্দান্ত ছয়টি সেভ করে পিএসজিকে গোলবঞ্চিত রাখেন পুরো ম্যাচজুড়ে।
প্রথম গোল আসে ২২ মিনিটে। গুস্তোর পাস থেকে গড়ানো শটে জাল খুঁজে পান পালমার। এরপর ৩০ মিনিটে ডিফেন্ডার লেভি কলউইলের লম্বা পাস ধরে একক প্রচেষ্টায় নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। ৪৩ মিনিটে পালমারের অ্যাসিস্ট থেকে পেদ্রো গোল করে ব্যবধান ৩-০ করেন।
৮৫ মিনিটে পিএসজি ১০ জনের দলে পরিণত হয়, যখন নেভেস কুকুরেয়ার চুল টেনে ধরায় সরাসরি লাল কার্ড দেখেন। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে মাতে চেলসি।
তবে ম্যাচ শেষে উত্তেজনা বাড়ে আরও একবার। দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পিএসজির কোচ লুইস এনরিকে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় মুখে আঘাত করেন পেদ্রোকে, যা ফুটবল বিশ্বে বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে।
২০২৪–২৫ মৌসুমে চেলসির জন্য এটি ছিল দারুণ অর্জনের বছর। উয়েফা কনফারেন্স লিগ জয়ের পর ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে তারা সাফল্যের বছর স্মরণীয় করে রাখল।