এ ম্যাচে একাই চার গোল করে জ্বলে ওঠেন ফরোয়ার্ড মোসাম্মৎ সাগরিকা। প্রথমার্ধে একটি এবং দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। আগের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে সরাসরি লাল কার্ডের কারণে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকার পর এদিন ফেরেন এবং ঠিক সেই নেপালের বিরুদ্ধেই গড়ে দেন দুর্দান্ত কামব্যাক।
রাউন্ড রবিন পদ্ধতির এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ৬ ম্যাচে পূর্ণ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। ১২ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হয় নেপাল। ভুটান ৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় এবং শ্রীলঙ্কা কোনও পয়েন্ট না পেয়ে তালিকার তলানিতে থাকে।
২০১৮ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় এটি বাংলাদেশের পঞ্চম শিরোপা। এর আগে ২০১৮, ২০২১, ২০২৩ সালে এককভাবে এবং ২০২4 সালে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে শিরোপা জিতেছিল তারা। শুধু ২০২২ সালে রানার্সআপ হয়েছিল লাল-সবুজের দল।
এদিনের ম্যাচের শুরুতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন দুই দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করেই মাঠে নিজেদের উজাড় করে দেন সাগরিকারা।
এই চ্যাম্পিয়নশিপে মাত্র তিন ম্যাচ খেলেই ৮ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন সাগরিকা। তার এই অনবদ্য পারফরম্যান্স যেমন দলকে শিরোপা এনে দিয়েছে, তেমনি দেশের নারী ফুটবলের প্রতি আবারও আস্থা ও গর্ব বাড়িয়ে দিয়েছে কোটি সমর্থকের।