ম্যাচে সান্তোস ২-১ গোলে হারে। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে আলভারো বারিয়ালের গোলে ব্যবধান কমায় দলটি। শেষ মুহূর্তে নেইমারের একটি শট পোস্টে লেগে গোললাইনের কাছাকাছি চলে গেলে তিনি ভেবেছিলেন, গোল হয়ে গেছে। সে আনন্দে বুনো উল্লাসে মেতে ওঠেন, এমনকি লাথি মেরে কর্নার ফ্ল্যাগও ভেঙে ফেলেন। কিন্তু রেফারি স্পষ্ট করে দেন, বল পুরোপুরি গোললাইন অতিক্রম করেনি।
খেলা শেষ হওয়ার পরই নেইমার গ্যালারির এক দর্শকের সঙ্গে মুখোমুখি হন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, দর্শকের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সতীর্থ গোলরক্ষক গ্যাব্রিয়েল ব্রাজিয়াও এসে নেইমারকে সরিয়ে নিয়ে যান।
পরে ইনস্টাগ্রামে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন নেইমার। তিনি বলেন, "উত্তেজনার মুহূর্তে যখন অন্যায়ভাবে অপমান করা হয়, তখন আবেগ সামলানো কঠিন। যদি আমি খারাপ খেলি, সেটা বলার অধিকার দর্শকদের আছে। কিন্তু গালিগালাজ করা তাদের অধিকার নয়।"
নেইমার আরও বলেন, "যেদিন দর্শকরা মনে করবে আমি ক্লাবের ক্ষতি করছি, আমি নিজেই বিদায় নেব। সান্তোস আমার আবেগের জায়গা, এই ক্লাবের জন্য আমি সবকিছু উজাড় করে দেব।"
বর্তমানে ৩৩ বছর বয়সী নেইমার চোট-সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন এবং সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিনি মাত্র ১৫টি ম্যাচ খেলেছেন, গোল করেছেন চারটি এবং অ্যাসিস্ট তিনটি। তার ক্লাব সান্তোস এখন ব্রাজিল সিরি আ’র অবনমন অঞ্চলে অবস্থান করছে, ২০ দলের লিগে তারা আছে ১৭ নম্বরে, ১৫ ম্যাচে অর্জন মাত্র ১৪ পয়েন্ট।
নেইমার যদিও মাঠে সেরা ছন্দে নেই, কিন্তু ক্লাবকে ভালোবাসার জায়গা থেকে তার এই দায়বদ্ধতা সান্তোস সমর্থকদের জন্য আশার আলো জাগিয়ে রাখে।