মাত্র একটি ঘোষণাই পাল্টে দিল সবকিছু। ২০১৫ সালে বুন্দেসলিগার বায়ার লেভারকুসেন থেকে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমিয়ে টটেনহ্যামের হয়ে খেলতে শুরু করেছিলেন সন। দীর্ঘ এক দশকে ক্লাবটির একনিষ্ঠ সৈনিক হয়ে উঠেন তিনি—গোল, অ্যাসিস্ট, শিরোপা-স্বপ্ন আর সমর্থকদের ভালোবাসা, সবই ছিল তাঁর সঙ্গী।
তাই, যখন নিজেই জানালেন বিদায়ের সিদ্ধান্ত, আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সন বলেন,
“এই গ্রীষ্মে ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। এটা নিঃসন্দেহে আমার ফুটবল ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর একটি। টানা দশ বছর একটা ক্লাবে থাকা, প্রতিদিন সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করা—এটা কেবল খেলোয়াড় হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবেও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আমি গর্বিত, কৃতজ্ঞ।”
৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের সঙ্গে ক্লাবটির চুক্তি ছিল ২০২৬ সাল পর্যন্ত, তবে সময়ের আগেই আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যদিও নতুন গন্তব্য এখনো নিশ্চিত নয়, তবে গুঞ্জন চলছে—যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএস ক্লাব লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি তাঁর প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে।
সনের বিদায় কেবল একজন খেলোয়াড়ের ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার খবর নয়, এটি টটেনহ্যামের এক গৌরবময় অধ্যায়ের সমাপ্তি। ক্লাবটির হয়ে ৪৫৪ ম্যাচে ১৭৩ গোল করা সন ছিলেন ইউরোপা লিগে টটেনহ্যামের শিরোপা জয়ের অন্যতম নায়ক। এছাড়া ২০২১-২২ মৌসুমে তিনি জিতেছেন প্রিমিয়ার লিগ গোল্ডেন বুটও।
ধারণা করা হচ্ছে, নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে আসন্ন প্রাক-মৌসুম ম্যাচে টটেনহ্যামের জার্সিতে শেষবার মাঠে দেখা যেতে পারে এই দক্ষিণ কোরিয়ান তারকাকে।