নতুন যুগে সূর্যকুমারের ভারত, শিরোপা ধরে রাখার লড়াই আজ থেকে

রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির অবসানের পর এটাই ভারতের প্রথম বড় টুর্নামেন্ট। ২০২৪ বিশ্বকাপের গৌরব জয়ের পর বিদায় নিয়েছেন ক্রিকেটের দুই মহাতারকা, আর সেই শূন্যতা পূরণে এখন সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে একেবারে নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে ভারতীয় ক্রিকেট।

ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ প্রতিপক্ষের জন্য আতঙ্কের নাম। টি–টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দুই ব্যাটার অভিষেক শর্মা ও তিলক ভার্মা থাকছেন মূল ভরসা হয়ে, আর ইনফর্ম ওপেনার শুবমান গিল আছেন শুরুতেই ঝড় তুলতে। এই ত্রয়ীর উপর নির্ভর করেই আবারও দাপট দেখাতে চায় ভারত।

অন্যদিকে বোলিং আক্রমণে ভারতের সেরা তাস জসপ্রিত বুমরাহ। তার নতুন বলে সুইং আর ডেথ ওভারের নিখুঁত ইয়র্কার প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে। যদিও জানা গেছে, উইকেটকিপার সঞ্জু স্যামসন প্রথম ম্যাচে একাদশে জায়গা নাও পেতে পারেন।

অন্যদিকে আমিরাতের জন্য ম্যাচটা আত্মপ্রমাণের সুযোগ। সাম্প্রতিক সময়ে তারা একেবারেই ভালো করছে না। ঘরের মাঠে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে কোনো জয় পায়নি। ভারতের বিপক্ষেও তাদের ইতিহাস হতাশাজনক—২০১৬ এশিয়া কাপে নয় উইকেটে হার, আর ২০১৫ বিশ্বকাপসহ সব ওয়ানডেতে পরাজয়। তবুও নিজেদের দর্শকদের সামনে তারা কিছু না কিছু চমক দিতে চাইবে।

ভারত কিন্তু দুর্দান্ত ফর্মে আছে। গত টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে তাদের জয়–পরাজয়ের রেকর্ড ২৪–৩। শুধু সংখ্যায় নয়, খেলায়ও তারা আধিপত্য দেখিয়ে চলেছে। তাই শিরোপা ধরে রাখার সবচেয়ে বড় দাবিদার নিঃসন্দেহে তারাই।

আজকের ম্যাচটা শক্তির বিচারে হয়তো একপেশে মনে হতে পারে। তবে যদি ভারত আত্মতুষ্টিতে ভোগে আর ইউএই খেলায় সবটুকু ঢেলে দেয়, তাহলে অঘটনের গল্পও লেখা হতে পারে। সব চোখ এখন রোহিত-কোহলি-পরবর্তী যুগে সূর্যকুমারের ভারতের দিকে—তাদের সূচনা কতটা উজ্জ্বল হয়, সেটাই আজকের আসল প্রশ্ন।