শুক্রবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ৬-৩, ৬-৩, ৬-৪ গেমে হেরে যান জোকোভিচ। এই জয়ে প্রথমবার উইম্বলডনের ফাইনালে উঠেন তরুণ ইয়ানিক সিনার। ম্যাচ শেষে হতাশ জোকোভিচ নিজেই স্বীকার করেন, শরীর আর আগের মতো সাড়া দিচ্ছে না।
হারের পর অনুভূতি জানাতে গিয়ে জোকোভিচ বলেন, ‘এটা মোটেও ভালো অভিজ্ঞতা ছিল না। আমি চোট নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না, কারণ সেটা অজুহাত দিতে শোনায়। ইয়ানিককে অভিনন্দন জানাতে চাই, সে দুর্দান্ত খেলেছে এবং ফাইনালে উঠে গেছে।’
এক সময় উইম্বলডনের কোর্টে জোকোভিচের আধিপত্য ছিল চোখে পড়ার মতো। এবার কিছু ঝলক থাকলেও পরিপূর্ণ লড়াই দিতে পারেননি। নিজেই মেনে নিলেন বয়স এখন বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ‘শরীর যতই কেয়ার করি না কেন, এখন মনে হচ্ছে বয়সের প্রভাব পড়ছে। গত দেড় বছর ধরে আমি অনুভব করছি, যা আগে কখনো হয়নি।’
তবে জোকোভিচ এখনো বিশ্বাস করেন, শরীর যদি ফিট থাকে তবে ভালো খেলার সামর্থ্য তার আছে, ‘যখন আমি ফ্রেশ থাকি, তখন এখনো ভালো খেলা সম্ভব। কিন্তু পাঁচ সেটের ম্যাচগুলো এখন খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। টুর্নামেন্ট যত এগোয়, শরীর ততই ভেঙে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই বছর সব গ্র্যান্ড স্লামেরই সেমিফাইনালে পৌঁছেছি। কিন্তু যখন সিনার বা আলকারাজের মতো তরুণ, ফিট খেলোয়াড়দের বিপক্ষে খেলতে হয়, তখন শরীর আর সাড়া দেয় না। ট্যাঙ্ক অর্ধেক খালি থাকলে জেতা যায় না।’