চলতি বছরের মে মাসে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বাজে অবস্থানে পৌঁছায় বাংলাদেশ। সোজা নেমে যায় দশ নম্বরে। সেই বিব্রতকর জায়গা থেকে এবার উঠে আসার সুযোগ এসেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে।
বুধবার থেকে কলম্বোতে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজ।
এই সিরিজে এক ম্যাচ জিতলেই দশ থেকে নয় নম্বরে উঠে আসবে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন দল। বর্তমানে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ৭৬। এক ধাপ ওপরে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট ৭৭।
র্যাঙ্কিং বিশ্লেষণ:
একসময় ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের নাম ছিলো এক প্রভাবশালী দল হিসেবে। র্যাঙ্কিংয়ে নিয়মিত ছয়-সাত নম্বরে ছিলো অবস্থান। কিন্তু বর্তমানে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির মত ওয়ানডেতেও পারফরম্যান্সের সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলেই ১৯ বছর পর এমন ভয়াবহ দশা।
তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরিসংখ্যান আশাব্যঞ্জক—ওয়ানডেতে ১২ বার জিতেছে বাংলাদেশ। এবার সেই ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ করে র্যাঙ্কিং উত্তরণের সুযোগ সামনে।
দুই বছর পর ফের জমে উঠছে এশিয়ার ক্রিকেট উৎসব—এশিয়া কাপ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও আবু ধাবির মাঠে আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই, চলবে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এবারের আসরটি হবে সম্পূর্ণ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে, সামনে থাকা ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বড়সড় প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। নভেম্বর মাসে নিজেদের মাঠে আয়োজন করতে যাচ্ছে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ, যেখানে অংশ নেবে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। রোববার এক বিবৃতিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জানায়, আসন্ন সিরিজটি দলগুলোর জন্য হবে বিশ্বকাপ-পূর্ব মহড়া।
অবশেষে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আর কোনো বাঁধা রইল না প্রেনেলান সুব্রায়েনের সামনে। আন্তর্জাতিকসহ সব ধরনের ক্রিকেটে বোলিং করার ছাড়পত্র দিয়েছেন আইসিসি।
এশিয়া কাপে ফাইনালে উঠেছে তিনবার, কিন্তু কখনোই ট্রফি হাতে ওঠেনি। সেই অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণেই এবার নামছে বাংলাদেশ। আর দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। সংযুক্ত আরব আমিরাতে উড়াল দেওয়ার আগে সমর্থকদের কাছে আশীর্বাদ চেয়ে জানালেন স্পষ্ট বার্তা—“চূড়ান্ত লক্ষ্য ট্রফি জয়।”
ক্রিকেট বিশ্বে একসঙ্গে দুই ভাইয়ের খেলার দৃশ্য নতুন নয়, তবে দক্ষিণ আফ্রিকার রুবিন হারমান ও জর্ডান হারমান নিজেদের ব্যাটে এনেছেন অন্য মাত্রা। নিউ জিল্যান্ড ‘এ’-র বিপক্ষে তিন ম্যাচের আনঅফিসিয়াল ওয়ানডে সিরিজে দুজন মিলে হাঁকালেন চারটি সেঞ্চুরি, হয়ে উঠলেন সিরিজজয়ের নায়ক।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একের পর এক বাধায় পরিত্যক্ত হলো বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি। শুরুতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, এরপর বৃষ্টি—মাঝে খেলা এগোলেও শেষ পর্যন্ত আর মাঠে ফেরা সম্ভব হয়নি। ফলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় টাইগাররা।
শারজাহর মাঠে আফগানিস্তান আবারও প্রমাণ করল তারা টি-টোয়েন্টিতে কতটা ভয়ঙ্কর। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে শুরু করা দলটি ফিরতি লড়াইয়ে দারুণ প্রতিশোধ নিল। ব্যাট হাতে ইব্রাহিম জাদরান (৬৫) ও সেদিকউল্লাহ আতাল (৬৪) গড়ে তুললেন ১১৩ রানের জুটি, আর বল হাতে ঝলক দেখালেন ফারুকি, মোহাম্মদ নবি ও রাশিদ খান। তাদের সম্মিলিত নৈপুণ্যে আফগানিস্তান পেল ১৮ রানের দাপুটে জয়।
পাওয়ার হিটারের খ্যাতি নিয়েই পাকিস্তান দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন আসিফ আলি। অনুশীলনে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ ছক্কা হাঁকানোর কথা বলে একসময় আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেই ছক্কার ঝড় খুব একটা দেখা যায়নি। এবার সেই ব্যাটার জানালেন বিদায়ের বার্তা।