ঘটনাটি ঘটে ১০৫তম ওভারে। ওভারের প্রথম বলে ডাউন দ্য উইকেটে ছক্কা হাঁকান রিপন। এরপরই রাগে ফুঁসতে থাকেন বোলার এনটুলি। ওভারের মাঝে দুই ব্যাটার যখন একসাথে ছিলেন, তখন রিপনের দিকে এগিয়ে এসে কিছু একটা বলেন এবং ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করেন। রিপন প্রথমে হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু এরপর এনটুলি তার হেলমেট ধরে টানাটানি শুরু করেন।
আম্পায়ার প্রথমবার তাদের আলাদা করলেও, কিছুক্ষণ পরেই ফের এনটুলি রিপনের হেলমেট ধরে জোরে টান দেন। দ্বিতীয়বার হস্তক্ষেপ করে দুজনকে আলাদা করেন আম্পায়াররা ও মাঠের অন্য খেলোয়াড়রা। তবু এনটুলি থামেননি—এক হাতে ইশারা করে রেগেমেগে কিছু বলতে থাকেন।
এই ঘটনাতেও রিপন ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দেন। পরের বলেই দারুণ ব্লক করে এনটুলির আগ্রাসনের জবাব দেন ব্যাট দিয়ে।
লাঞ্চের সময় রিপন অপরাজিত ৪২ রানে, মাহেদি ১৭ রানে ব্যাট করছিলেন। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৮ উইকেটে ৩৪৩ রান (১১৪ ওভার)।
এমন ঘটনা মাঠে খেলোয়াড়দের আচরণ ও নিয়ন্ত্রণের প্রশ্ন তুলছে। এখন দেখার বিষয়—আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা বা ম্যাচ রেফারি এনটুলির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেন কি না।