শুক্রবার বিকেলে বিসিবিতে এসে পৌঁছান আমিনুল, ইফতেখার রহমান মিঠুর গাড়িতে করে। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তখন ভিড়, স্লোগানে মুখর একদল মানুষ—"বুলবুল ভাইয়ের আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম!"
কিন্তু আমিনুলের এই যাত্রা সম্পূর্ণ রাজনীতি বা প্রতিষ্ঠা নির্ভর নয়। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের অধিনায়ক, ২০০০ সালে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান, সেই আমিনুল খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ১৯ বছর ছিলেন বিসিবির বাইরে। আইসিসিতে উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন, বাস করতেন অস্ট্রেলিয়ায়।
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের আহ্বানে দেশে ফিরেছেন, বিসিবিতে কাজ করতে। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, হয়তো প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা অন্য কোনো বেতনভুক্ত পদে আসছেন তিনি। কিন্তু নাটকীয়ভাবে ফারুক আহমেদকে সরিয়ে তাকে সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, "আমি এখানে সভাপতি হওয়ার জন্য আসিনি। আমাকে শুধু জিজ্ঞেস করা হয়েছিল—বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য কাজ করতে চাই কি না। আমি এক বাক্যে রাজি হয়ে যাই।"
আর্থিক দিক থেকেও এটা এক ত্যাগের সিদ্ধান্ত। বিসিবির সভাপতির পদ অবৈতনিক, আর আমিনুল ব্যবসায়ী বা শিল্পপতি নন। একজন সাংবাদিককে তিনি বলেন, "আপনি সবচেয়ে গরিব সভাপতি। এই মুহূর্তে আমার কাছে কিছু নেই, কিছু করিও না। খুব সাধারণ জীবন কাটানোর চেষ্টা করি।"
তবে তার লক্ষ্য স্পষ্ট—"বাংলাদেশের ক্রিকেট নয়, ক্রিকেট ইন বাংলাদেশ"—মানে দেশের প্রতিটি স্তরের ক্রিকেটকে উন্নত করতে কাজ করবেন তিনি।